পঞ্চগড়ে নগদের একাউন্ট থেকে ভাতার টাকা উধাও

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১২ নভেম্বর ২০২৩

পঞ্চগড়ে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় প্রদত্ত বিভিন্ন ধরণের ভাতার টাকা সুফলভোগীদের একাউন্ট থেকে তাদের অজান্তে উধাও হয়ে যাচেছ। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ সমাজ সেবা অফিসে গিয়েও সেই টাকার হদিস পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা। ফলে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে তাদের মাঝে। ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং নগদের মাধ্যমে এ  টাকা দেওয়া হয় সুফলভোগীদের। একটি চক্র  একাউন্ট হ্যাক করে এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, মোবাইলের নগদ একাউন্টে ভাতা আসার কয়েকদিন আগে সমাজসেবা অফিস থেকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাদের ডাকা হয়। এরপর সমাজ সেবা অফিসে কর্মরত পরিচয় দিয়ে একব্যক্তি ফোনে জানান, আপনার বয়স্ক ভাতার টাকা একাউন্টে পাঠানো হবে। দয়া করে আপনার মোবাইলে যাওয়া কোড নম্বরটি বলেন। এটাও বলেন যে কয়েকদিন আগে আপনাকে অফিসে ডাকা হয়েছিল। এরপর কোড নাম্বারটি দেওয়ার পর জানতে পারেন তাদের একাউন্টে টাকা নেই।

কামাতপাড়া এলাকার রেজিয়া বেগম বলেন, তার নগদ একাউন্টে বয়স্ক ভাতার ১৮শ’ টাকা ছিল। এক ব্যক্তি ফোনে সমাজসেবা অফিসের পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনার মোবাইলে একটি কোড গেছে। দয়া করে নম্বরটি বলেন। আপনাকে টাকা পাঠানো হবে। হারিভাসা এলাকার প্রতিবন্ধী ফজলুল  করিম বলেন, আমি এমনি প্রতিবন্ধী, তার উপর সড়ক দূর্ঘটনায় একটি পা ভেঙে বিছানায়। ফোন করে বলেন, আপনার নম্বরে টাকা যাবে। পিন নম্বর দেন। পরে সুস্থ হয়ে টাকা তুলকে গিয়ে দেখি টাকা নেই। একই এলাকার খমিরন নেছার বিধবা ভাতা টাকাও  এভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে।

 জানা যায়, সদর উপজেলা পৌরসভায় বয়স্ক, বিধবা প্রতিবন্ধী মিলে মোট ভাতাভোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৩৬৫ জন। এদের মধ্যে কতজনের টাকা এভাবে নেওয়া হয়েছে, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তারা সবাই নগদের মাধ্যমে ভাতা পান। প্রতি তিন মাসে বয়স্ক ভাতা হাজার ৮০০, বিধবা হাজার ৬৫০ প্রতিবন্ধী ভাতা হাজার ১৫০ টাকা পায় তারা। গত মাসের শেষ সপ্তাহে ভাতা একাউন্টে আসা শুরু করেছে।

উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মোছা. লায়লা আরজুমান জানান, নিয়ে আমরা খুবই বিব্রতকর অবস্থায় আছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কৃর্তৃপক্ষেকে জানানো হয়েছে। ভাতাভোগী কেউ যেন পিন নম্বর কাউকে না দেন- এ বিষয়ে সচেতনতার জন্য ইউনিয়নে মাইকিং করেছি।

 

বিডি/ সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর