সরকার পতনের একদফাসহ অন্যান্য দাবি আদায়ে আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের আগুনে নিক্ষেপ করতে প্রধানমন্ত্রীর সহিংস হুংকারে দেশের গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষ আতঙ্কিত বলে মনে করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশে গৃহযুদ্ধ বাঁধাতে চান। তার বক্তব্য অনুযায়ী তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর পুরো আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই শর্টগান, হাতুড়ি-চাপাতি-লগি-বৈঠাধারী আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দিচ্ছেন- আগুনে নিক্ষেপ করে আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের হত্যা করতে।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অতীতেও একটার বদলে দশটি লাশ ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখন বিরোধী নেতাকর্মীদের জেলে আটকে স্বস্তি পাচ্ছেন না। রাজপথে আন্দোলনকারীদের আগুনে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিচ্ছেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন একতরফা করতে উন্মত্ত এখন আওয়ামী লীগ। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও আন্তর্জাতিক চাপে দিশেহারা হয়ে গেছে। প্রধান বিচারপতির বাড়ির ফটকে হামলা, পুলিশ সদস্যকে হত্যা, পুলিশ হাসপাতালে ও গাড়িতে আগুন- পরিকল্পিতভাবে এ সব ঘটনা নিজেদের এজেন্ট দিয়ে ঘটিয়েছে তারা। অবরোধ চলাকালে ফেনীর লালপুলে মহাসড়কে চিনিভর্তি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি নুর উদ্দিন টিপুকে গ্রেফতারে প্রমাণ হয় অতীতের মতো আগুন সন্ত্রাস নাশকতা করে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে আওয়ামী লীগ। নিজেরাই ধ্বংসযজ্ঞ, হত্যা-ভাঙচুর, সহিংসতা করে পুরানো কায়দায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে।
বিডি/আরডি/এমকে