জনদৃষ্টি ইসির দিকে

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৫ নভেম্বর ২০২৩

বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো এখনই তফসিল ঘোষণার বিপক্ষে। তারা চাচ্ছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। এদিকে দেশের প্রধান রাজনৈতিক ৩ দলকে চিঠি দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নিঃশর্ত সংলাপের আহবান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওদিকে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করার দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের। এমন পরিস্থিতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করতে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বৈঠকে বসছে ইসি। তাই দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন ইসির দিকে।  

জানা গেছে, বুধবার বিকাল ৫টায় রাজধানী ঢাকায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তফসিল সংক্রান্ত বৈঠক হবে ইসির। বৈঠক শেষ হওয়ার পরে ঘোষণা হতে পারে তফসিল। তবে কোনো কারণে বুধবার না হলেও বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণার সম্ভবানা আছে, এমন আভাস পাওয়া গেছে ইসি থেকে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, আগেই জানানো হয়েছে- নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা হবে। প্রথমার্ধের দিন যেহেতু এখনো সামনে আছে, তাই অপেক্ষা করুন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বৈঠক শেষে সরাসরি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার মাধ্যমে তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সাধারণত তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত ৪৫ থেকে ৬০ দিন সময় হাতে রাখা হয় ভোটের। সে হিসাবে বুধবার তফসিল ঘোষণা হলে ডিসেম্বরের শেষ বা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট হতে পারে।

এদিকে সরকারবিরোধী দলগুলো আগেই জানিয়েছে, একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে হরতাল-অবরোধ দেওয়া হবে। তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে এ আন্দোলন চলবে। এমনকি অসহযোগ আন্দোলনের চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা। সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ে তফসিল ঘোষণার আগে ইতোমধ্যেই ৪ দফায় মোট ৯ দিন অবরোধ ডেকেছে তারা। ৫ম দফায় বুধবার (১৫ নভেম্বর) শুরু হয়েছে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ। অবরোধের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কথা  ক‘দিন আগে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। রাজনৈতিক এমন অস্থিরতায় দেশের মানুষ চাচেছ- একটা সমঝোতা, অংশগ্রহণমুলক ও সুষ্ঠু নির্বাচন।

ওদিকে নির্বাচন ঘিরে সংলাপ ইস্যূতে তিন দলকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর চিঠিটা তফসিল ঘোষণার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, ডোনাল্ড লুর চিঠি সংলাপের কি-না, বিষয়ে কমিশন অবগত নয়।  তিনি বলেন, সাংবিধানিক আলোকে প্রস্তুত করা নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী কমিশন তার নিজস্ব গতিতে কাজ করবে।

এদিকে সংবিধান অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা ছাড়া ইসির সামনে কোনো পথ খোলা নেই। কেননা একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে তাদের। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোটের পর একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, গত ১ নভেম্বর থেকে ৯০ দিনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে ভোট করতে হবে ইসিকে।

 

বিডি/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর