তফসিল ঘোষণা, ভোট ৭ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৬ নভেম্বর ২০২৩

দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। বুধবার (১৫ নভেম্বর) এ তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তার আগে তফসিল নিয়ে কমিশনের বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে তফসিল ঘোষণার আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন সিইসি। বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশ বেতার এ ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করে। এ ভাষণের মধ্য দিয়েই নির্বাচনের দিনক্ষণ জানিয়ে দেন সিইসি। ভাষণে সিইসি সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। সংবিধান ও আইনের আলোকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন।

এদিকে তফসিল এমন এক সময় ঘোষণা করা হলো, যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় আছে বিএনপিসহ সমমনা সরকার বিরোধী দলগুলো। তাদের দাবি- প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে তারা যাবে না। সরকারকে পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। এসব দাবি না মানলে নির্বাচনে যাবে না। তাছাড়া এসব দাবি না মেনে একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলে হরতাল-অবরোধ ডাকা হবে। তফসিল ঘোষণার পর থেকে লাগাতার এ হরতাল- অবরোধ চলবে। এমনকি অসহযোগ আন্দোলনের কথাও বলছে তারা।

ওদিকে সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে হবে নির্বাচন। এ কারণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্তে অনড় আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও গণফোরাম সভাপতিসহ অনেকেই চাচ্ছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের জন্য নিঃশর্ত সংলাপের ব্যবস্থা করতে। তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, তফসিল ঘোষণার পর এখন সংলাপে বসার কোনো সুযোগ নেই।

ওদিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সিইসির কক্ষে কমিশন বৈঠকে তফসিল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয়। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন সংগ্রহ করা যাবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। ওই দিন থেকেই প্রচার শুরু করতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারণা চালানো যাবে জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত।

তফসিল ঘোষণার সময় সিইসি জানান, নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন প্রয়োজন হবে। স্বতন্ত্র হিসেবে কেউ নির্বাচন করতে চাইলে তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত প্রত্যয়নপত্র লাগবে। তবে অতীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করে থাকলে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত প্রত্যয়নপত্রের বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

 

বিডি/এন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর