বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ পাঁচ পরিবারের মানবেতর জীবনযাপন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
১৭ নভেম্বর ২০২৩

নাটোরের গুরুদাসপুরে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা ৫ পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। অজ্ঞতা, অর্থনৈতিক দৈন্যতার পাশাপাশি ঠিকমতো   খোঁজ-খবর না রাখায় বসতভিটার মালিকানা সংক্রান্ত মামলায় হেরে যাওয়ায় তাদের বসতভিটা বেদখল হয়ে গেছে। এদিকে সেই বসতভিটাতেই তাদের পূর্নবাসনের দাবি তাদের। এজন্য মানবন্ধন করেছেন তারা। তাদের সবগুলো পরিবার মিলে সদস্য একত্রে ২৫ জন।

আবুল হোসেন জানান, উপজেলার দুধগাড়ী মৌজার ৫৬২ নম্বর দাগে ১৫ শতাংশ, ৫৬১ নম্বর দাগে ১৬ শতাংশসহ গোপিনাথপুর মৌজার দশমিক ৭৪ একর জমি প্রায় শত বছর ধরে বংশানুক্রমে ভোগদখলসহ বসবাস করে আসছিলেন তারা। কিন্তু ২০০১ সালের দিকে স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী শাহ ওই সম্পত্তির মালিকানা নিজেদের দাবী করে নাটোর আদালতে মামলা করেন। অজ্ঞতা অর্থনৈতিক দৈন্যতার কারণে সময়মতো তারা ওই মামলার খোঁজ-খবর রাখতে পারেননি। ফলে আদালত একতরফা রায় প্রদান করেন, পাশাপাশি তাদের ভোগদখলীয় জমিতে রজব আলী শাহকে দখল বুঝিয়ে দেন।

বুলবুল শাহ কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, পৈত্রিক আবাসস্থল হারিয়ে তারা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাদের অন্য কোন বসতভিটা নেই। তাই উচ্ছেদকৃত জমিতে পূনর্বাসনের দাবী জানান। তিনি আরো জানান, ১৫ নভেম্বর তাদের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সেই জমিতে রজব আলী শাহের স্থাপনা নির্মাণ বন্ধসহ স্থিতিবস্থা রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমির চারিদিকে বেড়া দিয়ে ভেতরে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন রজব আলীর লোকজন।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান জানান, আদালতের ১৪৪ ধারা জারি সংক্রান্ত নোটিশটি রজব আলী শাহকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রজব আলী শাহ জানান, প্রায় ২৩ বছর মামলা চলার পর আদালত এ মামলা রায় দেনে। রায়ে তারা জিতেছেন। প্রতিপক্ষকে উচ্ছেদপূর্বক জমিতে তাদের দখল বুঝিয়ে দিয়েছেন। এ কারণেই তারা জমিটিতে স্থাপনা নির্মাণ করছেন।

 

বিডি/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর