দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। ভোটার সংখ্যা যাই হোক না কেন, নির্বাচনি এলাকায় সর্বোচ্চ ২৫ (পঁচিশ) লাখ টাকার বেশি ব্যয় করতে পারবেন না কোনো প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রার্থীর খরচ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তফসিল ঘোষণার পর এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রার্থীর এ খরচ এমনই ছিল।
প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, একটি দল থেকে ৩০০ প্রার্থী মনোনয়ন দিলে সেক্ষেত্রে সবগুলো আসনে সর্বোচ্চ ব্যয়সামী সাড়ে চার কোটি টাকা। মনোনয়নদানকারী রাজনৈতিক দল প্রদত্ত খরচসহ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনি খরচ ২৫ (পঁচিশ) লাখ টাকার বেশি হবে না।
এদিকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নির্বাচনে একক দলীয়ভাবে ৫০ প্রার্থী অংশ নিলে সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা, ১০০ প্রার্থীর জন্য সর্বোচ্চ দেড় কোটি টাকা, ২০০ প্রার্থীর ক্ষেত্রে তিন কোটি টাকা এবং ২০০’র বেশি প্রার্থীর বেলায় সর্বোচ্চ সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয় করতে পারবে দল।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৪৪ সিসিসি-বিধি অনুযায়ী, ভোটের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হবে। এটা অমান্য করলে ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান আছে।
২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে ভোটার প্রতি ব্যয় একাদাশ ও দ্বাদশের সংসদ নির্বাচনে ধরা ব্যয়ের চেয়ে কম ছিল, ৮ টাকা। তবে সে নির্বাচনেও নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থী সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা ছিল ২৫ লাখ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটার প্রতি প্রার্থীর ব্যয় নির্ধারণ ছিল ৫ টাকা। নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীর সর্বোচ্চ ব্যয় নির্ধারণ ছিল ১৫ লাখ টাকা।
১৫ নভেম্বর ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসলি অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। এরপর প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই শুরু হবে নির্বাচনি প্রচারণা। চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
বিডি/এন/এমকে