দুরপাল্লার যানবাহনে কম যাত্রী থাকায় হরতালে কারণে লোকসান গুনছেন সাতক্ষীরার পরিবহন মালিকরা। পরিবহন সেক্টর সংশ্লিষ্টদের কথায় উঠে এসেছে হতাশাও।
বিএনপি ও জামায়াতের আলাদাভাবে ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন রোববার সাতক্ষীরায় জীবনযাত্রায় তেমন প্রভাব পড়েনি। এদিকে রাজপথে বিএনপি বা জামায়াতের নেতাকর্মীরা না থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে।
দু-একটি কোম্পানির বাস ছাড়া ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ছে না সাতক্ষীরার দূরপাল্লার বেশিরভাগ বাস। ইমাদ পরিবহন কাউন্টারের ম্যানেজার জয়ন্ত দাস বলেন, হরতাল-অবরোধের পূর্বে আমাদের প্রচুর বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতো। কিন্তু বর্তমানে যাত্রী না থাকার কারণে সারাদিনে অল্প কিছু সংখ্যক বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
গ্রীনলাইনে কর্মরত জসীম মোল্লা জানান, হরতাল-অবরোধে সারাদিন যাত্রী না থাকায় আমাদের বাসগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেতে পারে না। রাতে একটা গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলেও অল্প কয়েকজন যাত্রী নিয়ে যায়। এতে প্রতিদিন লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে গাড়ি ছাড়তে হয়।
ইজিবাইক চালক জাকির হোসেন জানান, সেই ফজরের নামাজের পর রোড়ে এসেছি। ভোর থেকে কোন ভাড়া হয়নি। জিনিসপত্রের প্রচুর দাম, সংসার চালাতে খুব হিমশিম খাচ্ছি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডাল, আলুভর্তা খেয়েও জীবন কাটানো কঠিন এখন।
বিডি/কিশোর কুমার/সি/এমকে