নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাচ্ছে সব দল এসে একটা সুন্দর নির্বাচন হোক- দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়টি এখনো নিশ্চিতভাবে কেউ বলতে পারছে না। কেননা বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ঘোষিত তফসিল ও দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনে না আসার বিষয়ে অনড় আছে এখনো। ওদিকে রাষ্ট্রপতির কাছে তফসিল পেছানোর ও রাজনৈতিক সংলাপের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এমন অবস্থায় পরিস্থিতি বুঝে সিন্ধান্ত নিতে চায় ইসি। বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আলোচনা করে আইনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে আপত্তি নেই তাদের।
পরিস্থিতি বুঝে সিন্ধান্ত নেওয়া এবং বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আলোচনার জন্য তাদের স্বাগত জানানোর কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা। সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিফ্রিংকালে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন এ নারী কমিশনার।
সাংবাদিকদর প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ওনারা (বিএনপি) যদি ফিরতে চান, কীভাবে কী করা যাবে- নিশ্চয়ই আমরা আলোচনা করবো। ওনারা সিদ্ধান্ত নিলে, আসতে চাইলে আমরা ফিরিয়ে দেব, এমনটা হবে না। ওনারা যদি আসেন, আমরা কমিশনাররা বসব। আইনকানুন দেখে যেটা সিদ্ধান্ত হয়, হবে। যেভাবে আইনে আছে, সেভাবেই করবো। বিস্তারিত আর কিছু বলব না।
তফসিল পেছানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। এ প্রসঙ্গে রাশেদা বলেন, এ বিষয়ে কিছুই বলব না। অগ্রিম বলার সময় এখনো আসেনি। পরিস্থিতি যখন আসবে, পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা। অগ্রিম এ বিষয়ে কোনো কথাই বলা উচিত নয়।
বেগম রাশেদা সুলতানা জানান, সংকট সৃষ্টির আগেই যদি ওনারা আসেন? কাজেই এখনই কিছু বলব না। যদি সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হয়, বাড়ানো হবে। বাড়ানোর প্রয়োজন না হলে এভাবেই হলে হবে, কোনো অসুবিধা নেই। যদি এ তফসিলের মধ্যেই আসে, তাহলে তফসিলে হাত দেওয়ার দরকার নেই।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্পেস এখনো আছে জানিয়ে এ কমিশনার আরও বলেন, মাঠের রাজনীতিতে যখন বিভাজন তৈরি হয়েছে, তখন শান্ত নাকি অশান্ত সেটা আমার বলতে হবে না। জনগণ দেখতে পাচ্ছে। পরিবেশ অশান্ত আছে। তাই বলে শান্ত হবে না– এমন কোনো কথা নেই। যে কোনো মুহূর্তে শান্ত হতে পারে।
বিডি/এন/এমকে