নির্বাচনি এলাকায় নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং অর্থ অবমুক্তকরণ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যুসহ নতুন সব ধরনের অনুদান-ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের সরকারি গেজেটে প্রকাশের আগ পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ; মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং রেড ক্রিসেট সোসাইটিসহ সংশ্লিষ্টদের আলাদা চিঠি দিয়েছে ইসি।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী- নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের তারিখ পর্যন্ত সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল হতে কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে বরাদ্দ দেওয়া বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না। এ বিধান না মানলে আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় হবেন সংশ্লিষ্টরা।
নির্দেশনায় ইসি জানায়, নির্বাচন শেষ না হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় কোনো প্রার্থী সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পত্তি যেমন- অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকি-টকি বা অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। মাশুল প্রদান করেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। কোনো অবস্থাতেই নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে। তাছাড়া সরকারি অর্থে ক্রয়কার্য সংক্রান্ত কোনো দরপত্র সংক্রান্ত কাজে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না।
আরও জানা গেছে, ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান নিতান্ত আবশ্যক হলে জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি গ্রহণ করতে হবে। আর আগে থেকে পরিচালিত হচ্ছে, এমন সব ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
বিডি/এন/এমকে