দেশে বহুল ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতার হার বেড়েছে। পাঁচ বছর ৭১ শতাংশ কার্যকারিতা হারিয়েছিল, এখন হারিয়েছে ৮২ শতাংশ। সেই হিসাবে পাঁচ বছরের মধ্যে অকার্যকারিতার হার বেড়েছে ১১ শতাংশ। এ ৫ বছরের মধ্যে সেফট্রিয়েক্সন গ্র“পের ওষুধ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মিলে প্রায় ৪০ হাজার নমুনা নিয়ে এ গবেষণা পরিচালনা করে আইইডিসিআর। বুধবার মহাখালীর আইইডিসিআর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিদের অতিরিক্ত ব্যবসায়ী মনোভাব, অপ্রয়োজনে ব্যবস্থাপত্রে অ্যান্টিবায়োটিক লেখার প্রবণতা এবং ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধের দোকানে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রির কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতার হার বেড়েছে। সমাধান পেতে সংবেদনশীলতার পরীক্ষা ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করার পরামর্শ তাদের। তাছাড়া ফার্মেসিগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন, নিবন্ধন অবশ্যই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে দিতে হবে। এতে প্রফার্মেসিগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
বিডি/এন/এমকে