স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিসহ মাঠ প্রশাসনকে ১০ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতেই এ নির্দেশনা। নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নির্দেশিত হয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ নির্দশনা দেয়। নির্দেশনা প্রতিপালনে কোনও ধরনের অবহেলা করলে ব্যবস্থা নেওয়া বিষয়ে সতর্কও করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি সিটি ও পৌর মেয়র, জেলা, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে আছে-১. স্ব-স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা। ২. ইসির নির্বাচন সংক্রান্ত দিক নির্দেশনাসহ আদেশ-নির্দেশ প্রতিপালন। ৩. অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী নির্বাচনি মিছিল, সভা ও প্রচারণার বিষয় তদারকি। ৪. কোনও নির্বাচনি অফিস, প্রতীক, পোস্টার নষ্ট করার যে কোনও প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা। ৫. জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর ভোটপ্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনও উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন না করা । ৬. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না। ৭. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনও অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। ৮. মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনও যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া যাবে না। ৯. স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনও প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ১০. ভোটকেন্দ্রসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি কোনও প্রার্থীর নির্বাচনি কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।
বিডি/এন/এমকে