যথাসময়েই নির্বাচন

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৫ নভেম্বর ২০২৩

null

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে এ নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার পাশাপাশি সব দলের অংশগ্রহণে অংশগ্রহণমুলক করার দাবি উঠেছে। কিন্তু দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ সমমনা কয়েকটি দল এ তফসিল প্রত্যাখান করেছে। তারা তফসিল বাতিলের দাবি জানানোর পাশাপাশি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। নির্বাচন কমিশনাররা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে তফসিল পূনঃবিবেচনা করা হবে। এ নিয়ে দলটি ইসির সঙ্গে বসতে চাইলেও তাদের স্বাগত জানাবে তারা। এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি নির্বাচনে এলে নির্বাচন পেছাবে কিনা, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে।

নির্বাচনের তারিখ পেছানো হবে কিনা, জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেন- তফসিল অনুযায়ী নির্ধারিত দিনেই নির্বাচন সম্পন্ন করতে কাজ চলছে। যথাসময়ে নির্বাচন হবে, পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন ঘিরে যে কোনো পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোকাবিলা করবে বলেও জানান তিনি।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রংপুরে গণমাধ্যমকর্মীদের বিফ্রিংকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তার আগে সেখানে বিভাগীয় কমিশনারের সভাকক্ষে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিমূলক সভা করেন এ কমিশনার।

সরকার বিরোধীদের চলমান আন্দোলন প্রসঙ্গে ইসি রাশেদা সুলতানা জানান হরতাল-অবরোধ কারা দেবে কি দেবে না, সেটি আমরা বলতে পারবো না। ভোটের পরিবেশ পুরোপুরি তৈরি আছে। কোনোভাবে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে না বলে আশা করা যায়।

রাশেদা সুলতানা জানান, নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে অবশ্যই থাকবে সেনাবাহিনী। যদিও এখনও পুরোপুরি সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অতীতের মতো এবারও থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি জানান, ভোটকেন্দ্রে যেতে, ভোট দিতে বাধা দিলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখালে, হুমকি-ধামকি দিলেও আইনিভাবে শাস্তির আওতায় আনা যেতো না। কিন্তু এবার কমিশন আইন সংশোধনের মাধ্যমে অপকর্মের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান করেছে।

রাশেদা সুলতানা আরও জানান, নির্বাচনে মাঠপর্যায়ের প্রশাসন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে ইসি।

ওদিকে আরেক নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, বিএনপি যদি অংশগ্রহণ করে, তাহলে তফসিল পেছানোর সুযোগ রয়েছে। তিনি জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে আসার প্রস্তাব এলে বিবেচনায় নেওয়া যাবে। তফসিল পুনর্র্নিধারণ করা হবে।

এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, কারা নির্বাচনে এলো আর কারা এলো না- এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। এ জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে নির্বাচন করার। ভোটাররা ভোট দিতে এলেই নির্বাচন সফল হবে। ভোটে জনগণ  যোগ দিলে সেটাই অংশগ্রহণমূলক হবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। প্রার্থী যাচাই-বাছাই - ডিসেম্বর। প্রার্থিতা সংক্রান্ত আপিল শুনানি -১৫ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচারণা শুরুও ১৮ ডিসেম্বর, ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ভোট ৭ জানুয়ারি।

 

বিডি/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর