দেশে সংসদীয় ৩শ’ আসনের প্রতিটিতে বিচার বিভাগীয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতি জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজ আছেন এ কমিটিতে। কমিটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পূর্ব কোনো অনিয়ম হলে তার তদন্ত করবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এ কমিটি ইসি গঠন করেছে।
ইসির আইন শাখা থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করেই এ কমিটি গঠন করেছে ইসি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নির্বাচনী অপরাধ, আচরণবিধি, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তুতি বা পরিচালনায় বাধাগ্রস্ত বা ব্যাহত করে- এমন নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম সংক্রান্ত বিষয় অনুসন্ধানপূর্বক তৎমর্মে প্রতিবেদন দাখিল করবে এ কমিটি। এ প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার হাত হয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে যাবে। এরপর সে প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবে ইসি।
এ কমিটি দায়িত্ব পালনকালে একজন বেঞ্চ সহকারী/ স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। এদিকে কমিটির চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুসারে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহের জন্য সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে ইসি। নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে নিরাপত্তার স্বার্থে অনুসন্ধান কমিটির সঙ্গে পুলিশের দুই জন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিযুক্ত করতে পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপারকেও নির্দেশনা দিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেখ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই প্রচারণা শুরু, প্রচারণা চালানো যাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত।
বিডি/এন/এমকে