ছোট নাম- মো. মকবুল হোসেন, কিন্তু সাহস দূরন্ত। ২০০১ সালে দলীয় মনোয়ন পেয়ে পরাজিত হয়েছিলেন একবার। পরাজিত হলেও দমে যাননি একটুও। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো দলের মনোনয়ন পান, নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন সংসদীয় আসন পাবনা-৩ থেকে। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন, এ দুই নির্বাচনেই পাবনা-৩ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে উপহার দেন তিনি।
সংসদীয় এলাকা ৭০ পাবনা-৩ আসনে প্রথম রাজনীতিক হিসেবে টানা তিনবার নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন মো. মকবুল হোসেন। পাবনা-৩ আসনটি তিনটি উপজেলা নিয়ে গঠিত- চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর। মো. মকবুল হোসেনের বাড়ি তিন উপজেলার মধ্যে ভাঙ্গুড়ায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ সভাপতি তাঁর ওপর আস্থা রেখেছেন। তাই এ আসনে ফের তিনিই নৌকার টিকিট পেয়েছেন। যদিও এবার আসনটিতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী কে হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার আগে সেটা নিয়ে নানা অঙ্ক কষেছেন রাজনীতি বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটাররা। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়ার স্বপক্ষে নানা যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন তারা নিজেদের মধ্যে পরস্পরের আলোচনায়।
এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে পাবনা-৩ আসনে আরেকটা রেকর্ড করবেন মো. মকবুল হোসেন। কেননা ইতোমধ্যে তিনি এমপি পদে জয় পেয়ে হাট্রিক করেছেন। এবার হবে তাঁর টানা চতুর্থ জয়। পরবর্তীতে এ আসনে থেকে কেউ তাঁর মতো টানা ৪বার সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন কিনা, সে নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ টানা ৪বার নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে রয়েছে বয়স আর জনপ্রিয়তার পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়।
তথ্য সূত্র: উইকিপিডিয়া
মো. মকবুল হোসেন কেবল সংসদে পাবনা-৩ আসন থেকে প্রতিনিধিত্বই করেননি, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও ভূমি মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন হচ্ছে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন।
বিডি/সি/মহিদুল খান