ভোটের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা বাড়ছে। সব দলের অংশগ্রহণে এবারের নির্বাচন হওয়া নিয়ে সংশয় থাকলেও ‘ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল’ নির্বাচন করতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন ইস্যুতে আন্দোলন করছে সরকার বিরোধী দলগুলো, প্রায় লাগাতারভাবে অবরোধ, হরতাল ডাকছে তারা। বড় আশঙ্কার খবর হচ্ছে, নির্বাচনে বাইরের থাবা বা হাত এসে পড়েছে। থাবা বিস্তারও করে রেখেছে তারা। এমন পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র ও দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে সরকার ও ইসির কাছে।
নির্বাচনে বাইরের থাবা পড়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (২৭ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে নির্বাচন ইস্যূতে কথা বলেন সিইসি।
সিইসি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ সার্বভৌম নয়। যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে আমাদের বিষয়ে কমেন্ট করতে পারে, আমরা কিন্তু ওয়াশিংটনে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিতে পারছি না। তবে আমাকে, সাধারণ জনগণকে, গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচাতে হলে যে দাবিটা আমাদের বা বাইরের— ওরা (বিদেশি) খুব বেশি দাবি করেনি। তাদের (বিদেশিদের) দাবি, বাংলাদেশের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল হতে হবে। কোনোরকম কারচুপির আশ্রয় নেওয়া যাবে না।
নির্বাচন নিয়ে দেশ সংকটে আছে বলেও মনে করছেন সিইসি। তার মতে, নির্বাচনকে নিয়ে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক হচ্ছে, রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। নির্বাচনের ফেয়ারনেসকে উপলক্ষ করে রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিভক্ত হয়ে গেছে। এখান থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, নির্বাচন ক্রেডিবল ও ফ্রি হয়েছে কি না সেটা পাবলিক পারসেপশন; এটার কোনো মানদণ্ড নেই। জনগণকে বলতে হবে- নির্বাচন ক্রেডিবল হয়েছে। সার্বিকভাবে জনগণ যদি বলে নির্বাচনটা ফ্রি ফেয়ার এবং ক্রেডিবল হয়েছে, তাহলে এটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান সিইসি।
বিডি/এন/এমকে