প্রতি মাসেই কমছে রিজার্ভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
৩০ নভেম্বর ২০২৩

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। কিন্তু তারপরও থামছে না রিজার্ভের ঘাটতি। প্রায় প্রতি মাসেই রিজার্ভের পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় কমছে। সরকারের অনেক অপরিশোধিত বিল রয়েছে, এগুলো পুরোটা শোধ করা হলে রিজার্ভ হয়তো আরও কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডলারের আয় ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য না থাকায় প্রতি মাসে ডলারের মতো ঘাটতি থাকছে। ডলারের পর্যাপ্ত যোগান না থাকায় আমদানি কমালেও রিজার্ভ ধরে রাখতে সহায়ক হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে চাহিদা যোগানের ভারসাম্যহীনতাকে সামাল দেয়ার জন্য ডলারের বিনিময় হার ছেড়ে দেওয়া এবং ডলারের যোগান বিভিন্ন উৎস থেকে বাড়ানোর চেষ্টা ছাড়া ঘাটতির লাগাম টেনে ধরার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তাদের পরামর্শ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে চিন্তা করতে হবে- কীভাবে তহবিলেরহার্ড ফ্লোবাড়িয়ে ভারসাম্য আনা যায়। বাজেটেও কিছু সংকোচনমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

চলতি বছরে রিজার্ভের পরিমাণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২.২২ বিলিয়ন ডলার। সেটা কমে নভেম্বরে এসে দাঁড়ায় ২৫.১৬ বিলিয়ন ডলার। এগারো মাসের মধ্যে জুনে রিজার্ভের পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় কিছুটা বাড়লেও বাকি ১০ মাস রিজার্ভ ক্রমান্বয়ে কমেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। বেশি দামে পণ্য কেনার কারণে রিজার্ভের উপর চাপ পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির কারণে সুদের হার বেড়ে . শতাংশে দাঁড়িয়েছে।  ডলারের বিনিময় হারে বড় পার্থক্য হওয়ায় স্বল্প মেয়াদে নেওয়া ঋণ লোকসান কমাতে দ্রুত শোধ করার চেষ্টা করছে ব্যাংকগুলো। রিজার্ভে টান পড়ার পেছনে এ দুটোও কারণ বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিডি/ই/এমকে

 

 

 

 

 

 


মন্তব্য
জেলার খবর