দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই করছে দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)। এক্ষেত্রে যাদের সম্পদ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে, তাদের বিষয়ে নজর রাখছে এ সংস্থা। কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ওঠলে এ তথ্যগুলো কাজে লাগাবে কমিশন। এখন হলফনামা ধরে কাজ না করলেও কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে সংস্থাটি।

সম্পদ অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সংশ্লিষ্টদের নজর রাখার পাশাপাশি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি জানান তিনি। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষ্যে  এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

প্রতিরোধ ও প্রতিকার- এ দুই দুইভাবে দুদক কাজ করে জানিয়ে দুদক সচিব বলেন, দুর্নীতি যাতে না করে সেই ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। অন্যদিকে প্রতিকারটা হচ্ছে- দুর্নীতি সম্পৃক্ত কোনো অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান হয়, মামলা হয়। কাজেই কমিশন থেমে নেই, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে।

মাহবুব হোসেন বলেন, কমিশন তার ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করে। নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে স্পেসিফিক কিছু করার সুযোগ নেই। তবে ইসি কোনো কিছু জানতে চাইলে বা বললে সেক্ষেত্রে আইন মোতাবেক দরকারি সব করবে কমিশন।

ইসির কাছে হলফনামা সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া বা হলফনামা ধরে কমিশনের কাজ করা প্রসঙ্গে দুদক সচিব বলেন, এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা থাকলে সেটি কমিশনের তরফ থেকে আসতে হবে।

তিনি জানান, হলফনামায় দাখিল করা তথ্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবাই জেনেছে। তার মানে এখনই যে সেটাকে ধরা হবে বা তার পেছনে কমিশন দৌড়াবে বিষয়টা এমন না। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আইন মোতাবেক অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে এ তথ্যগুলো অবশ্যই কমিশনের কাজে আসবে। প্রয়োজনে তখন বিবেচনায় নেওয়া হবে। হলফনামা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে কাজ করা হবে না। কোনো অভিযোগ এলে কমিশন আইন মোতাবেক যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সেই পদক্ষেপটি নেবে। ক্ষমতাসীন বা বিরোধী কাউকেই ছাড় দেওয়ার অবকাশ দুদকের নেই  বলেও জানান তিনি।

আরএম/জেডএস