অস্থির হচ্ছে পেঁয়াজের বাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

ভারত সরকার তার দেশের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। শুক্রবার এ খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরপরই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আগের দিনের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা। পূর্বাভিজ্ঞতা থেকে ভোক্তারা বলছেন, শুরুতে দাম বৃদ্ধির লাগাম টেনে না ধরলে ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠবে পেঁয়াজের বাজার।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন- বর্তমানে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে পেঁয়াজের। উৎপাদনের পাশাপাশি আমদানির পেঁয়াজও আছে।  পাশাপাশি নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। তাই ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করলেও বাজারে এর প্রভাব পড়ার কথা না। কিন্তু তারপরও দাম বাড়ানো হয়েছে, এ দাম বাড়ানোটা অযৌক্তিক। অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতেই এমন হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। তাদের দাবি, তদারকির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। না হলে পেঁয়াজের দাম নিয়ে ভোক্তার পকেট কাটা হবে।

শুক্রবার রাজধানী ঢাকায় প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকা এবং আমদানির পেঁয়াজ ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক দিন আগে দেশি পেঁয়াজ ১৩০-১৩৫ টাকা, আমদানির পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রফতানির বন্ধ করে দেয়। এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়,  আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ থাকবে।  তবে এ নোটিশ জারির আগে পেঁয়াজের গাড়ি লোড হয়ে থাকলে সেটি সংশ্লিষ্ট দেশে পৌঁছে যাবে। পেঁয়াজ ভর্তি গাড়ি বা জাহাজ ভারতীয় পোর্ট ছেড়ে গেলে তাদের ক্ষেত্রে নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না। এর বাইরে কোনো দেশ পেঁয়াজ চাইলে পেঁয়াজ রপ্তানির নীতিতে পরিবর্তন আনতে পারবে ভারত সরকার।

ওদিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টন।এ বছর দেশে প্রায় ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ২৫ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। তাই চাহিদা মেটাতে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে প্রায় সাড়ে লাখ টন। মুহূর্তে দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যাপ্ত রয়েছে।

জানা গেছে, যতবার ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেছে, দেশে ঠিক ততবার পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। এর পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে দাম বাড়ানো শুরু হয়েছে।

 

বিডি/ই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর