পঞ্চগড়ে আদালতের কার্যক্রম চলাকালে বিচারককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ইয়াকুব আলী হত্যা মামলার ১৬ আসামিকে জামিন দেওয়ায় এ জুতা নিক্ষেপ করেন সংক্ষুব্ধ বাদী। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- ১ এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনায় বাদী মিনারা বেগমকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, জমিজমা সংক্রান্ত জেরে ইয়াকুব আলীর সঙ্গে তার ভাই আ: জব্বার,মমিন ও মকছেদের মারামারি হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইয়াকুব আলী। গত ৫ ডিসেম্বর পঞ্চগড় সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার এ ঘটনায় ইয়াকুব আলীর মেয়ে মিনারা আক্তার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনকে আসামি করা হয়।

এ মামলায় সোমবার আসামিরা চীফ জুডিশিয়াল আদালত-১ এ আত্মসমর্পনসহ আইনজীবির মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। বিচারক অলরাম কার্জি ১৬ জনকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেন। এসময় এজলাসে থাকা বাদী সংক্ষুব্দ হয়ে বিচারককে লক্ষ্য করে এজলাসে পায়ের জুতা খুলে নিক্ষেপ করেন। ভিকটিমের বড় ছেলে ফারুক বলেন,আসামীদের কাছে আদালত ১০ লাখ টাকার নিয়ে জামিন দিয়েছে।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবি রাকিবুত তারেক বলেন,এজাহার নামীয় ১৯ জন আসামীর মধ্যে ১৬ জন আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন। আসামীর জবানবন্দি ও আদালতে সুরতহাল রিপোর্ট না আসায় বিচারক তাদেরকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়।এতে বাদী উত্তেজিত হয়ে বিচারকের উদ্দেশ্য জুতা নিক্ষেপ করে।

বাদীপক্ষের আইনজীবি হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, বিচারকের ক্ষমতা আছে, তাই তিনি জামিন দিয়েছেন। আমরা বলেছিলাম, হত্যা মামলা সাতদিন হল। আজ কুলখানি, কিন্তু বিচারক সুরতহাল রিপোর্ট চান। অতপর জামিন দেন। এর মধ্যে বাদী এসে কান্নাকাটি শুরু করেন।

কোর্ট ইন্সপেক্টর জামাল উদ্দিন কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে আদালতে বিশৃঙ্খলা হওয়ার কারণে বাদী মিনারা আক্তারকে হেফাজতে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।

বিডি/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে