দেশে মানুষের মধ্যে যেমন সতর্কতা ও সচেতনতার অভাব আছে, তেমনি চালকদের মধ্যেও সতর্কতা ও সচেতনতার পাশাপাশি যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। এসব কারণে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। দূর্ঘটনা না কমার পেছনে কারণ রয়েছে গণপরিবহন সেক্টরে প্রশাসনিক অদক্ষতা, দুর্নীতি-অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। অথচ সড়ক, নৌ আর রেল পথে দুর্ঘটনামুক্ত চলাচল জনগনের অধিকার। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পরিবহন মালিক-শ্রমিক-প্রশাসনিক এবং সাধারণ মানুষের সমন্বয়ের কোন বিকল্প নেই। এমনটাই জানিয়েছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন সেভ দ্য রোড।
সেভ দ্য রোডের মহাসচিব শান্তা ফারজানা জানান, চলতি বছরের গত ৫ মাসে দেশে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে মোট ১৮ হাজার ৭৫৬ টি। এসব দুর্ঘটনায় ২ হাজার ১৬৫ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি ২০ হাজার ৫৯৫ জন আহত হয়েছেন।
এসব দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে ফারজানা জানান, নির্ধারিত গতিসীমা না মেনে, বিশ্রাম না নিয়ে টানা ১২ থেকে ২০ ঘন্টা যানবাহন চালনাসহ বিভিন্ন নিয়ম না মানায় ছোট-বড় ৪ হাজার ৮০টি ট্রাক, ৪ হাজার ৮৬০টি বাস দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলা, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন কারণে অবৈধ যানবাহনসহ অন্যান্য ৩ চাকার যানবাহনে ছোট-বড় ৪ হাজার ৮১৬ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পথ দুর্ঘটনামুক্ত করতে বেশ কয়েকটি পরামর্শও দিয়েছে সেভ দ্য রোড। এর মধ্যে রয়েছে ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা করা। ফিটনেসবিহীন যানবাহন নিষিদ্ধ। কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতীত চালক ও তার সহকারি নিযুক্ত না করা, সব পরিবহন চালকের লাইসেন্স থাকা, চালকের সহকারির মাধ্যমে পরিবহন চালানো বন্ধ করা। ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা। পথ দূর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা ত্বরান্বিত করার মধ্য দিয়ে জনসতর্কতা তৈরি করা।
বিডি/এন/এমকে