দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আমরাও করবো, শরিকদেরও করতে হবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই নির্বাচনের রেজাল্ট আনতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। ঢাকায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিং করেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি-জামায়াতকে দেশ ও জাতির নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবেও দেখছেন তিনি।
বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সহিংসতা, সন্ত্রাস করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। তারা যদি মনে করে, সহিংসতা করবে আর সরকার বসে থাকবে- সেটা হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনের বিপক্ষে যে কোনো বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান এ সময় ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করতে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা করতে পারবে। সে সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে। এতে ১৪ দলের শরিকদের কারো কোনো আপত্তি থাকতে পারে। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা থাকবে। বিনা প্রতিযোগিতায় কেউ নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বি যেই হোক, তার সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
জোটের শরীক জাতীয় পার্টিকে আসন ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, অপ্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসেবে সিট ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই তাদের আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, কাউকে সহিংসতা, গায়ের জোরে কিছু করতে দেওয়া হবে না। সে আওয়ামী লীগ হোক বা স্বতন্ত্র হোক।
বিডি/আরডি/এমকে