নির্বাচনবিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আসছে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩

জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে ভোটের আগে নির্বাচনবিরোধী সভা-সমাবেশসহ যে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দিতে চায় না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই এ বিষয়ে সবাইকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে তারা। ধারণা করা হচ্ছে, এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ভোটের আগে নির্বাচনবিরোধী সভা-সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসি থেকে সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে। তাই ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা বা ভোটদানে ভোটাররা নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্চনীয়। তাই ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত সব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) চাচ্ছে- নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করতে। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে ভোট দিক। কিন্তু এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও বিএনপিসহ ১৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে আসছে।

এদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই ক্ষমতাসীন দলের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন বানচাল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। আন্দোলনের নামে তারা সহিংসতা করছে। গেল মাসের শেষ দিকে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে অংশ না নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মসূচি নির্বাচনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

জানা যায়, নির্বাচনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রযোজ্য হবে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারে ইসি। কিন্তু অনিবন্ধিত দল সংগঠনের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই তাদের। তাছাড়া নির্বাচনে অংশ না নেওয়া নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে নির্বাচনের আচরণবিধি প্রযোজ্য হবে না। ফলে তাদের রাজনৈতিক  কর্মসূচি ঘিরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে ভীতি সৃষ্টি হতে পারে ভোটারদের মধ্যে। এতে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

বিডি/এন/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর