দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ধরণের অবদান রেখে আসছে চলনবিল। কিন্তু অপরিকল্পিত বিভিন্ন কার্যক্রমের কারণে বড়াল ও চলনবিলের অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থায় সব বাধা অপসারণ করে সামগ্রিকভাবে চলনবিল ও এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত বড়ালসহ অন্যান্য নদী ও খালের উন্নয়ন ঘটাতে পারলে তার ইতিবাচক প্রভাব জাতীয় অর্থনীতিতে পড়বে।
বড়াল নদী সংক্রান্ত আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে বর্তমান অবস্থা নিয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) পাবনার চাটমোহরে কমিউনিটি পরামর্শ সভা হয়। সেখানে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনকালে বিষয়টি জানান বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)র রাজশাহী অঞ্চলের সমন্বয়কারী তন্ময় কুমার স্যানাল।
বড়ালপাড়ের গ্রাম কুমাড়গাড়ায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বড়াল বিদ্যানিকেতনে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান। বক্তব্য দেন- চাটমোহর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফিরোজা পারভীন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আ. মতিন, সাপ্তাহিক চাটমোহর বার্তা সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম হাবিবুর রহমান ও দৈনিক আমাদের বড়াল সম্পাদক ও প্রকাশক হেলালুর রহমান জুয়েল।
সভায় বড়াল নদীর দখল-দুষণ তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এ নদীর পুনরায় লীজ প্রক্রিয়া শুরুর পায়তারা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি লীজ প্রতিরোধের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। সেই সঙ্গে বড়াল রক্ষা আন্দোলনের গতি বাড়ানোর কথা বলা হয়। সভায় শিক্ষক, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
বিডি/সি/এমকে