ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর নির্বাচনী মাঠে শুরু হবে প্রার্থীদের প্রচারণা। এদিন থেকেই নির্বাচনী উৎসবের আবহ সৃষ্টি হবে দেশে। তফসিল অনুযায়ী প্রচারণা নির্বাচনে ভোটের আগের শেষ ধাপ।
এবারের নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৬০ জন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিনে মোট প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ ২৯টি বড়-ছোট দল অংশ নিচ্ছে। তবে বিএনপিসহ ১৫টি দল অংশ নেয়নি।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিকাল ৪টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে নিজেদের চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম জানিয়ে দিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে। কোনও দল তার দলীয় প্রতীক জোটভুক্ত দলের কোনও প্রার্থীর অনুকূলে বরাদ্দ দিতে চাইলেও এ সময়ের মধ্যে সেটা জানিয়ে দিতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে। এরপর সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রার্থীদের অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দ দেবেন।
নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহের আগে নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারবে না কোনও প্রার্থী, দল বা তার পক্ষে যে কেউ। ফলে সোমবার থেকে উন্মুক্ত হচ্ছে নির্বাচনি প্রচারণার পথ।
এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনে স্বতন্ত্র ও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মিলে মোট দুই হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। যাচাই-বাছাইয়ে ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ৬২৫ জন প্রার্থিতা ফেরত পেতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন। এছাড়া বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ৩৫টি আপিল জমা পড়ে ইসিতে। আপিলে প্রার্থিতা ফেরত পায় ২৮০ জন। পাশাপাশি ৫ জন বৈধ প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়। তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
বিডি/এন/এমকে