দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাসায় যেতে পারেন, শান্তিতে থাকতে পারেন- সেজন্য দরকারি সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ইসির তরফ থেকে। ভোট ঘিরে সহিংসতা ও গোলযোগ এড়াতে সেনাবাহিনী মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সেনা মোতায়েনে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনও।
রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী, এ কথা আগেই জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন- রিটার্নিং অফিসার যখন মনে করবেন, তখনই সেনাবাহিনী আসবে।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসির সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেন তিনি। একই সঙ্গে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সেনা মোতায়েনের বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে জানান সিইসি। তখন সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দেন।
সেনা মোতায়েনে রাষ্ট্রপতির সম্মতি দেওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন। রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে প্রেস সচিব আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সেনা মোতায়নের তারিখ ও সময় জানানো হবে। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, সবার সহযোগিতায় দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হবে।
এদিকে তফসিল অনুযায়ী, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রতীক বরাদ্দের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে প্রার্থিদের। তার আগে রোববার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি হবে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
বিডি/এন/এমকে