ন্যাটোর সঙ্গে লড়াইয়ের আগ্রহ নেই রাশিয়ার: পুতিন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে লড়াইয়ের কোনও আগ্রহ নেই রাশিয়ার। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন রসিয়াতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ী হলে রাশিয়া একটি ন্যাটো দেশে হামলা করবে- মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ার জবাবে বিষয়টি জানান পুতিন। সঙ্গে পুতিন এটাও বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত দেশে হামলা সংক্রান্ত বাইডেনের মন্তব্য একেবারে অর্থহীন। আমি মনে করি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সেটা ভালো করেই বোঝেন।  খবর ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

ইউক্রেনের যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমাদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্কের গভীর সংকট শুরু হয় মূলত ১৯৬২ সালের কিউবান ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর। গত বছর বিশ্ব মোড়লদের সতর্ক করে জো বাইডেন বলেছিলেন, ন্যাটো এবং রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘর্ষ থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনে ওয়াশিংটনের সামরিক সহায়তা বন্ধ না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন জো বাইডেন। রিপাবলিকানদের সতর্ক করে ওই সময় তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে জয়ী হলে পুতিন আর থামবেন না। ন্যাটো দেশে আক্রমণ করবেন তিনি।

বাইডেনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রোসিয়া টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভ্লাদিমির পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া সম্পর্কে বাইডেন তার ভুল নীতিকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে মনে হচ্ছে। ন্যাটো দেশগুলোর সাথে লড়াইয়ে রাশিয়ার কোনও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ নেই, এমনকি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা সামরিক স্বার্থও নেই; কোনো কারণ-ই নেই।

মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক ন্যাটো জোট প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালে। পববর্তীতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর কিছু সাবেক সোভিয়েত এবং ওয়ারশ চুক্তিভুক্ত দেশকে অন্তর্ভুক্ত করতে জোটের সম্প্রসারণ করা হয়। আগামী বছরে ন্যাটোতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ফিনল্যান্ডের। যদিও এ দেশের যোগদানের বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে মস্কো।

 

বিডি/আই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর