নিয়োগ পরীক্ষায় আটক ৩ প্রার্থীকে ছেড়ে দিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা

মো.সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড় থেকে
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

পঞ্চগড়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অসাধু পন্থা অবলম্বনে আটক ৭ প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ৩ প্রার্থীর বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কোনো অভিযোগ না থাকায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় শিক্ষক সচেতন মহলে বিরাজ করছে ক্ষোভ।

জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাজস্ব খাতভুক্ত সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা গত ৮ ডিসেম্বর গ্রহণ করা হয়। এদিন আলাদা কেন্দ্র হতে ৭ প্রার্থীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এর মধ্যে ইলেক্টোনিক ডিভাইজ ব্যবহার করার অভিযোগে জন, মোবাইল ব্যবহার করার অভিযোগে জন পরীক্ষায় সহযোগিতা করার অভিযোগে জন রয়েছেন।

এ ৭ জন হলেন- জেলার বোদা পৌরসভার নগরকুমারী এলাকার ফারুক আহমেদের স্ত্রী  রাবেয়া সুলতানা (২৯), একই উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের তাসের পাড়া এলাকার মোজাহার ইসলামের স্ত্রী মাসুমা বেগম মনিরা (২৪), উপজেলার লক্ষিপাড়া এলাকার আনন্দ রায়ের ছেলে ভাস্কর রায় (৩২), সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে নুরুজ্জামান (৫৫) একই উপজেলার সাতমেড়া ইউনিয়নের নুনিয়াপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের স্ত্রী উম্মে সুবাহ সাদিয়া (২৭), দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের আদর্শপাড়া এলাকার ফজলুল ইসলামের ছেলে কবির হোসেন (৩০), আটোয়ারী উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের নিতুপাড়া এলাকার হবিবর রহমানের ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান।

এ ঘটনায় ৪ প্রার্থীকে আটক দেখিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম মন্ডল ৮ ডিসেম্বর রাতে প্রার্থীর নামে মামলা করেন। আটক বাকি তিনজনের বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিসার কোন অভিযোগ না করায় রাত সাড়ে ১২ টায় পুলিশ তাদের  ছেড়ে দেন। ছাড়া পাওয়া ৩ প্রার্থী হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, কবির হোসেন নুরুজ্জামান।

খোলাপাড়া খানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব মতিয়ার রহমান জানান, পরীক্ষা শেষ হয়ে খাতা নেওয়ার সময় মোস্তাফিজুর রহমান কবির হোসেনকে অন্য পরীক্ষীর্থীরা আটক করে কর্তৃপক্ষের কাছে সোপর্দ করে। তারা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেন। পরে কর্তৃপক্ষ তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো.আমিরুল ইসলাম মন্ডল জানান, মুস্তাফিজুর রহমান কবীরের খাতা বাতিল করা হয়েছে। তাদের কাছে কোন ডিভাইস না পাওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নুরুজ্জামান ওই কেন্দ্রের কর্মচারী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে দরজায় চেক করার সময় অন্য একজনের একটি প্রবেশপত্র তার পকেটে পায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তাকে আটক করা হয়েছিল।

পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার রায় জানান, জেলা শিক্ষা অফিসার যেভাবে অভিযোগ করেছেন, আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি।

 

বিডি/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর