দলীয় নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এমনটা দাবি করে দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যায়নি বিএনপিসহ ১৫ রাজনৈতিক দল। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বলছে, তারা বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমুলক দেখতে চায়। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যারপর নেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করতে। নির্বাচনের নিরপেক্ষতা (ফেয়ারনেস) নিয়ে সংশয় কমাতে।
এ সংশয় কমাতে ভোটের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালেট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওদিকে ভোট উৎসবমূখর করতে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করা হয় বা ভয়ভীতি দেখানো হয়- এরূপ রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে কোনো দলকে অনুমতি না দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলায়ে চিঠি দিয়েছে ইসি। তাছাড়া ভোটারা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, ভোট দেওয়া শেষে বাড়ি ফিরে শান্তিতে থাকতে পারে, সেজন্য দরকারি সব ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ইসির তরফ থেকে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপক্ষেভাবে করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য মাঠেও নামানো হচ্ছে সেনাবাহিনীকে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, বেশিরভাগ ভোটকেন্দ্রে সকালেই ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। এতে স্বচ্ছতা বাড়বে। কেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হলে নির্বাচনের ফেয়ারনেস নিয়ে সংশয় কিছুটা কমবে বলে মনে করেন তিনি।
সিইসি বলেন, যেসব এলাকা দুর্গম ও দূরবর্তী, যেখানে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে রিমোট এসব এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইসির কাছে অনুমোদন গ্রহণ করবেন। তাদের প্রস্তাব আমরা বিচার-বিবেচনা করে অনুমোদন দেব। যতদূর সম্ভব ব্যালট পেপারগুলো ভোটের দিন সকালে যাবে। রিমোট এলাকায় দরকার হলে হেলিকপ্টপারে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।
সিইসি আরও জানান, ব্যালট বাক্সদ দুই থেকে চারদিন আগে যাবে। ব্যালট বাক্স স্বচ্ছ কি-না, সেটা দেখে নিতে হবে। এ জন্য পোলিং এজেন্ট থাকতেই হবে কেন্দ্রে। ব্যালট পেপার ফ্রেশ ছিল এবং সকালে ব্যালট গেছে, এটা সবাইকে; পোলিং এজেন্টদের দেখিয়ে নিয়ে স্বাক্ষর করতে হবে। এতে ফেয়ারনেস নিয়ে সংশয় থাকলেও কিছুটা দূর হবে বলে আশা করেন সিইসি।
বিডি/এন/এমকে