নাটোরের গুরুদাসপুরে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ৫দিন পর মারা গেছে রেবেকা সুলতানা নামের এক গৃহবধূ। হাত-পা বেঁধে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল তার স্বামী নিজেই ।
ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন এ গৃহবধূর বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আট টার দিকে মারা যায়। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে পারিবারিক কলহে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
রেবেকা সুলতানার (৩৯) স্বামীর নাম মেহেদী হাসান (২৬), তিনি উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের চলনালী কান্দিপাড়া গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে। মেহেদী রেবেকার দ্বিতীয় স্বামী।
রেবেকার বাবার বাড়ির লোকজন জানায়, বছরখানেক আগে আদালতের মাধ্যমে মেহেদী হাসানের সাথে রেবেকার বিয়ে হয়। এরপর তাদের সংসারে কলহ ছিল। মেহেদীর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক ও নির্যাতন সংক্রান্ত দুটি মামলাও করেন রেবেকা। মূলত মামলা প্রত্যাহারের জন্য সম্প্রতি রেবেকা ও তার মাকে চাপ দিচ্ছিলেন মেহেদী। কিন্তু এতে রাজি ছিলেন না তারা। এ কারণেই ক্ষুব্ধ হয়ে রেবেকার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে ধারণা করছেন রেবেকার পরিবারের লোকজন। মা ও ভাইয়ের সহযোগিতায় রেবেকার হাত-পা বেধে ফেলেন মেহেদী।
এদিকে এ ঘটনায় গত রোববার মেহেদী হাসান (৩৫), তার ভাই তানজিল (৩০) ও মা মেহেরজানকে (৫৫) আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেছেন রেবেকার মা লালবি বেগম। ঘটনার পর থেকে মেহেদী হাসান পলাতক।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. উজ্জল হোসেন জানান, রেবেকার শরীরের আগুন দেওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত। চিকিৎসার জন্য রেবেকাকে থানার পক্ষ থেকে সহায়তা করা হয়। আসামি ধরতে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।
বিডি/সাজেদুর রহমান সাজ্জাদ/সি/এমকে