দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশজুড়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচনে না আসায় সে আলোচনায় যোগ হয়েছে- বহিঃবিশ্বে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন। এদিকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে কোনো কিছুর ঘাটতি রাখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফেয়ারনেস নির্বাচন নিয়ে সংশয় কমাতে ভোটের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোট সুষ্ঠূ করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহাযোগিতার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করছে ভোটের মাঠে। এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটের ৭২ ঘণ্টা পরিস্থিতি বিশেষ নজরদারিতে রাখার। এজন্য মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি। ৬ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত মনিটরিং সেল পরিচালনা করা হবে। সেল গঠনের তথ্য সংশ্লিষ্ট সূত্রে জনা গেছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েজেন, কেন্দ্রীয় ও সাব- এ অবয়ব হবে মনিটরিং সেলের। মনিটারিং সেলের দায়িত্বে থাকবেন ৩০৫ জন। প্রতি দেড় ঘণ্টা পর পর কমিশনকে রিপোর্ট দেবে এ সেল। কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৩ জন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১ জন; পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসার/ভিডিপির ও সশস্ত্র বাহিনীর ১ জন করে সদস্য থাকবেন। এছাড়া ডাটা এন্ট্রি অপারেটর থাকবে ২ জন। মনিটরিং সাব সেলে থাকবেন ৩০ জন। এ ছাড়া দেশের সব রিটার্নিং কর্মকর্তা এ মনিটরিং সেলের আওতায় থাকবেন।
মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। সংগৃহিত তথ্য যথাসম্ভব যাচাই-বাছাইসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবগত করবেন তারা। রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে দেড় ঘণ্টা পর পরের বাইরে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনে বিশেষ প্রতিবেদন পাঠাবেন তারা।
বিডি/এন/এমকে