যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রায় দুই বছর কেটে গেছে। কিন্তু এখনো রুশ বাহিনীকে হটাতে পারেনি ইউক্রেনের সেনারা। বরং অনেকটাই ‘থমকে’ গেছে যুদ্ধ। এ অবস্থায় যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা কতটুকু, সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। রাশিয়ার তরফ থেকে সেই সম্ভবনা নেই বলেই জানানো হয়েছে। আর ইউক্রেনের শর্ত, রাশিয়া তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নিলেই আলোচনায়ে বসবে তারা।
বিশেষ সামরিক অভিযান চালাতে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায়। এর কয়েক দিন পরই আলোচনায় বসে রাশিয়া-ইউক্রেন। কিন্তু সেই আলোচনা পরবর্তীতে ভেস্তে যায়। ইউক্রেন সিদ্ধান্ত নেয়, সামরিকভাবে রুশ বাহিনীকে প্রতিহত ও বিতাড়িত করবে তারা।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আলোচনার জন্য দেওয়া পূর্বশর্তগুলো এখন নেই। ফলে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা নেই। রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু যুক্তরাজ্যের কারণে সে আলোচনা হয়নি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের কথায় আলোচনার টেবিল থেকে সরে যায় ইউক্রেন। যুক্তরাজ্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে নিষেধ করে তাদের।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ অঞ্চল দখলে রাখা রুশ বাহিনী যে সরে যাবে না, সেটি প্রায় নিশ্চিত। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
বিডি/আই/এমকে