চাকরির ৭ বছরে কোটিপতি কার্য সহকারি আবু হানিফ

মো.সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড় থেকে
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩

দূর্যোগ ত্রাণ অধিদপ্তরের সেতু কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের কার্য সহকারি পদে ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবরে যোগদান করেন মো.আবু হানিফ। চাকরির বয়স এখন সাতের কিছুটা বেশি। এরমধ্যে মালিকবনে গেছেন কোটি টাকার জমিসহ ছয় তলা ভিত্তির দ্বিতলা সম্পন্ন হওয়া ভবনের।

মো.আবু হানিফ এখন পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মরত আছেন। বসবাস করছেন জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে।

আবু হানিফের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার ভানোর গ্রামে। কৃষক মুনির উদ্দিনের দুই ছেলের মধ্যে বড় তিনি।  

খোজ নিয়ে জানা গেছে, কার্য সহকারি পদে বর্তমানে ১৫ হাজার ৬৬০ টাকা উত্তোলন করেন তিনি। এর আগে তার বেতন ছিল ১৪ হাজার টাকা।  বাসার ভাড়া বাবদ খরচ হয় এক হাজার টাকা। প্রতি সপ্তাহে গ্রামের বাড়িতে যাওয়াত করেন। বাবা-মায়ের বাইরে সংসারে দুই সন্তান স্ত্রী আছে তার।  বাসা ভাড়া, যাতায়াত ও পরিবারের খরচ মিটিয়ে তিনি এতো তাড়াতাড়ি কিভাবে এ সম্পদের মালিক হলেন, সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে উপজেলাসহ সব মহলে।

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের আশ্রমপাড়া এলাকায় সাড়ে চার শতক জমির উপর বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তিনি। সেখানকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৬তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ির নির্মাণকাজ পুরোটা শেষ করতে আড়াই কোটি টাকার মতো ব্যয় হবে তার। এ পর্যন্ত যে কাজ হয়েছে, তাতে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এলাকায় প্রতি শতক জমির বর্তমান বাজারমূল্য ১৮-২২ লাখ টাকা। সে হিসাবে তার জমির দাম প্রায় এক কোটি টাকা।

তার সম্পর্কে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর গান্ডিকারী বাজারে জমি কিনে বহুতল ভবনের ভিত্তি দিয়ে পিলার পর্যন্ত তুলেছেন আবু হানিফ। গ্রামের বাড়িটিও বেশ পরিপাটি। স্ত্রী শারমিন আক্তারের নামে করা হয়েছে এলজিইডির লাইসেন্স। পঞ্চগড় বালিয়াডাঙ্গীতে রয়েছে ডাচবাংলা, পুবালি ব্যাংকসহ কয়েকটি হিসাব।

এলাকাবাসী মনে করছেন, আলাদিনের চেরাগ বা ঘুষ-বাণিজ্য ছাড়া সামান্য বেতন চাকরি করে রাতারাতি এতো সম্পদের মালিক হওয়া সম্ভব না। তাদের ধারণা, ঘুষ-প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত তার এ মোটা আয়ের মূল উৎস। উপজেলা সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন তিনি।

বিষয়ে আবু হানিফ জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বাইরে কিছু করার নাই তার। আমরা কৃষি করি। বছরে ১৪ লাখ টাকার আলু বিক্রি করেছি।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর