আগামী প্রজন্মকে বই পড়ার অভ্যাসে উৎসাহিত করুন

১৯ মার্চ ২০২১

নিজেদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলাসহ আগামী প্রজন্মকে বই পড়ার অভ্যাসে উৎসাহিত করতে
দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ)
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহবান জানান।
করোনার কারণে ফেব্রুয়ারির অমর একুশে বইমেলা এবার শুরু হয়েছে স্বাধীনতার মাসে।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট’র শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত এবং ঐতিহাসিক ভাষার
গান আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল
অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদ স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন
করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ডিভাইসেও পড়ার সুযোগ আছে। তবে বই
হাতে নিয়ে পাতা উল্টে পড়ার আনন্দই আলাদা। তিনি বলেন, সবার বই পড়ার অভ্যাস এবং
ঝোঁক বাড়াতে হবে। পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বিশেষ করে ছোটদের বইয়ের প্রতি ঝোঁক
বাড়ানো দরকার। সব সময় ঘরে একটা ছোট লাইব্রেরি করে রাখতে হবে। সাহিত্যের মাধ্যমে
ইতিহাস, ভাষা-সংস্কৃতিও জানা যায়। সে কারণে পাঠ্যাভাস জরুরি। এসময় করোনার
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে বইমেলায় আসার আহবান জানান সরকার প্রধান।
বিদেশি সাহিত্যের বেশি বেশি অনুবাদ করার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নিজের
মায়ের ভাষাকে মর্যাদা দেওয়া যেমন দরকার, তেমনি অন্য ভাষাকে জানাও দরকার। অন্যান্য
দেশের সাহিত্য যেন আমরা জানতে পারি, সেজন্য অনুবাদকে গুরুত্ব দিতে আমি বাংলা
একাডেমিকে সব সময় অনুরোধ করেছি। কারণ একটা সাহিত্যের ভিতর থেকে মানুষের
জীবনযাত্রা জানা যায়। তাদের সংস্কৃতি জানা যায়। ইতিহাস জানা যায়। তিনি জানান,
সাহিত্যের মধ্য দিয়ে একটি দেশের সার্বিক পরিস্থিতিটাকেও জানার একটু সুযোগ হয়। মানুষের
জীবনমান সম্পর্কে জানা যায়, জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানা যায়। সে জন্য পাঠাভ্যাসের পাশাপাশি
বিদেশি সাহিত্যের অনুবাদের সহজলভ্যতাও প্রয়োজন। তিনি বলেন, ভাষা নিয়ে গবেষণাও
করতে হবে। কেননা, ভাষা ভাব প্রকাশের মাধ্যম। গবেষণা, অনুবাদ বাড়ানো হলে মানুষ দেশীয়

সাহিত্য-সংস্কৃতির পাশাপাশি বিদেশি সাহিত্য-সংস্কৃতি সম্পর্কেও জানতে পারবে। নিজেদের বিকাশ
ঘটাতে পারবে।
এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর