গাজায় দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ৪০ শতাংশ মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৯ ডিসেম্বর ২০২৩

টানা আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এ ভূখণ্ডে মানবিক সংকট তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ না করায় সেখানকার প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষদুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতেরয়েছেন। দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ। খবর আল জাজিরা।

গত অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় ২১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহতের সংখ্যা। এর মধ্যে ১৫ হাজারেরও বেশি নারী শিশু।

এমন পরিস্থিতিতে ইউএনআরডব্লিউএ বৃহস্পতিবার বলেছে, গাজা এখনবিপর্যয়কর ক্ষুধার সাথে লড়াই করছে ইসরায়েলের অবিরাম বোমা বর্ষণের মধ্যে গাজায়মানবিক যুদ্ধবিরতিরআহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেছে সংস্থাটি।

গাজার ইউএনআরডব্লিউএ বিষয়ক পরিচালক থমাস হোয়াইটের উদ্ধৃত দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে বলা হয়েছে,  বাস্তবতা হচ্ছে, আরও সাহায্য দরকার। পরিস্থিতিতে একমাত্রটি আশা অবশিষ্ট আছে- মানবিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর।

আল জাজিরা বলছে, হামলার পর থেকে ইসরায়েলের আরোপিতসম্পূর্ণ অবরোধএবং তার আগে টানা কয়েক বছর ধরে চলে আসা অবরোধের কারণে গাজার বাসিন্দারা খাদ্য, পানি, জ্বালানি ওষুধ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মানবিক সহায়তার কনভয় মিসর হয়ে প্রবেশ করার মাধ্যমে তীব্র ঘাটতি বিক্ষিপ্তভাবে কমানো সম্ভব হয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার বলেছে, গাজার প্রতিটি কোণায় বোমাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। এতে আরও ৫০ জন নিহত হয়েছেন। হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

ডব্লিউএইচও বিবৃতিতে বলেছে, জিনিস নিয়ে বের হলেই ক্ষুধার্ত মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ছেন মানবিক কর্মীদের ওপর সেখানকার সব জায়গায় স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারছেন না মানবিক কর্মীরা, বহু জায়গায় বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। এমনকি লড়াইয়ে প্রাণ গেছে। সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে খাদ্যসংকট থেকে গাজাকে বাঁচানো যাবে না। একাধিকবার যুদ্ধবিরতির আবেদনও জানানো হয়েছে ডব্লিউএইচওর পক্ষ থেকে।

 

বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর