সেঞ্চুরিয়ন টেস্টের তৃতীয় দিনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে ভারত। আর মেলবোর্নে চতুর্থ দিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারতে হয়েছে পাকিস্তানকে। দুই দিনের ব্যবধানে ভারত এবং পাকিস্তানের এ পরাজয়ে দুই দলই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খানিক ধাক্কা খেয়েছে। আর এতে কপাল খুলেছে বাংলাদেশের।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো ম্যাচ না খেলেই দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের অবস্থান এখন চার নম্বরে। পাঁচে আছে পাকিস্তান। আর ভারত নামে গেছে তারও নিচে, ছয়ে। পয়েন্টের দিক থেকে অবশ্য তারা বাংলাদেশের তুলনায় এগিয়ে আছে। ভারতের পয়েন্ট ১৪, পাকিস্তানের ২২ আর বাংলাদেশের পয়েন্ট ১২।
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যে থাকা ম্যাচগুলো জিতলে বিধি অনুযায়ী ১২ পয়েন্ট পাওয়া যায়। ড্র বা টাই হলে দুই দলকেই চার পয়েন্ট হারে ভাগ করে দেওয়া হয়। আর হারলে পয়েন্ট নেই। তবে সব দলের টেস্ট খেলার সংখ্যা সমান না হওয়ায় এ পয়েন্টকে বিবেচনা করা হচ্ছে না লিগ তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে। কেবল পয়েন্ট শতাংশ বিবেচনা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ পাওয়ার সম্ভবনা থাকা পয়েন্টের মধ্যে কত শতাংশ পেয়েছে, তার ভিত্তিতে লিগ তালিকা তৈরি হয়।
সিলেটে প্রথম টেস্ট জয়ের পর ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্ট জিতলে বাংলাদেশের পক্ষে ২৪ পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু ঢাকার ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সম্ভাব্য ২৪ পয়েন্টের মধ্যে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। শতাংশের হিসেবে ৫০। এ হিসেবেই ভারত আর পাকিস্তান এখন বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে যাওয়া পাকিস্তানের পয়েন্ট হয়েছে ৪৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর স্লো ওভাররেটের কারণে ভারত দুই পয়েন্ট হারানোয় ভারত সম্ভাব্য ৩০ পয়েন্টের মধ্যে পয়েছে ১৪। শতাংশের হিসেবে ৩৮ দশমিক ৮৯।
এফটিপি অনুযায়ী, সব দল সমসংখ্যক টেস্ট খেলে না। বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা এ চক্রে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে। এ দুই দলের ভাগ্যে জুটেছে ১২ টেস্ট। সেই জায়গায় ১৯টি করে টেস্ট ম্যাচ খেলবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড তারও বেশি, ২২টি টেস্ট। এসব কারণ বিবেচনায় পয়েন্ট শতাংশের হিসাব করেই এবার লিগ তালিকা সাজাচ্ছে আইসিসি।
বিডি২৪অনলাইন/এস/এমকে