থমকে যেতে পারে সবকিছু

নিজস্ব প্রতিবেদক
০১ জানুয়ারী ২০২৪

 

ভোটের সময় যতো ঘনিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। সৃষ্টি হচ্ছে নানা প্রশ্ন। সরকার ও নির্বাচন কমিশন দৃঢ় প্রত্যয়ী- নির্বাচন সুস্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে।  আর ভোট বানচালে সক্রিয় রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা সরকারবিরোধী কয়েকটি দল। নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে বিদেশিরাও, বিশেষ করে বিশ্ব মোড়লরা। এ অবস্থায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন খোদ নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তার হিসাবে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ না হলে দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম সবকিছু থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এমনকি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোট ঘিরে নিযুক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিষয়টি জানান। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা হয়।

ইসি আনিছুর রহমান বলেন, শুধু আমাদের দৃষ্টিতে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন বললেই হবে না। নির্বাচনকে যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। সব ধরনের নিরপেক্ষতা বজায় রেখে মাঠে কাজ করতে হবে আমাদের।

তিনি জানান, মাত্র ছয় দিন বাকি। সপ্তম দিনে ভোট হবে। নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনের জন্য ইসির চাহিদা অনুযায়ী ৮৩৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নিযুক্ত করেছে সরকার। নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ অংশগ্রহণমূলক করার উদ্দেশ্যে গত ২৮ নভেম্বর থেকেই আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইসির প্রচেষ্টর কোনো শেষ নেই বলেও জানান এ কমিশনার।

অন্য যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার এখন পর্যন্ত সহিংসতা খুব কম হয়েছে জানিয়ে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, এবারে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের ঘটনাও তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না আমরা। আমরা চাই আরও কম হোক। সম্ভব হলে এটা জিরোতে নেওয়া উচিত।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে ইসি আনিছুর বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য করতে আপনাদের ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী পাঁচ দিনের জন্য আপনারা নিয়োজিত হবেন। সময়ে আপনাদের মূল কাজ হবে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা। বিশেষ করে ভোটের আগে পরে অনেক সময় মিথ্যা সংবাদও পাওয়া যায়, এসব বিষয়ে নিরপেক্ষতা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

 

বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর