নির্বাচন শুধু সুষ্ঠু হলেই হবে না, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হয়েছে, ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন- সেটা বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। এ বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে পাবলিক ‘পারসেপশন’ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই যতদূর সম্ভব নির্বাচনটাকে দৃশ্যমানভাবে স্বচ্ছ করে তুলতে হবে। দৃশ্যমানতার মাধ্যমে জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে হবে। তাছাড়া এ নির্বাচনে ‘ইন্টারন্যাশনাল ডাইমেনশন’ আছে। সেটাকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বিশ্বকে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ হয়। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
নির্বাচন কমিশন প্রধান বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে যদি সরকার নির্বাচিত না হয়, তাহলে অগণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হওয়ার অবকাশ থাকে। ইসির কাজ সরকার গঠন করা নয়। নির্বাচন আয়োজন করে দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার ব্যবস্থা করা।
সিইসি বলেন, নির্বাচনী সহিংসতা জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কোনো মূল্যে ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি সুন্দর রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবারের নির্বাচনে ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। সর্বোচ্চ দায়িত্বটা কমিশনকে দেওয়া হলেও কমিশন কখনোই তার একক শক্তিতে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। এ কারণেই সংবিধানে আরপিওয়েতে বলা আছে- নির্বাচন পরিচালনায় কমিশন যেভাবে চাইবে, রাষ্ট্র বা সরকার তা দিতে বাধ্য। তবে নিরুঙ্কুশ অর্থে সামান্যতম অনিয়ম যে নির্বাচনে হবে না, এটা কখনোই বলা যাবে না।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে। তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের বিপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। এতে অসুবিধা নেই, তারা জনমত সৃষ্টি করতে পারেন। কিন্তু সহিংস পন্থায় এটার বিরুদ্ধাচরণ করা হলে, ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগে বাধা দেওয়া হলে অবশ্যই সংকট দেখা দেবে। সেই সংকট মোকাবিলা আমাদের করতে হবে। কারণ নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে করতে হয়। তাই প্রতিহত করার চেষ্টা আসতে পারে। বিপত্তি আসতে পারে, তারপরও এ দায়িত্বটা পালন করতে হবে আমাদের।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে