ইরানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কেরমান শহরে জোড়া বিস্ফোরণে প্রায় একশো মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, আহত হয়েছে দুইশোর মতো মানুষ। বুধবারের (৩ জানুয়ারি) এ ঘটনায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি। তবে বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে ইরান। এ বিস্ফোরণকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করেছে পশ্চিম এশিয়ার এ দেশ। খবর বার্তাসংস্থা এএফপি।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থল থেকে কয়েকশ মিটার দূরে এ বিস্ফোরণ ঘরে। এদিন সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে সেখানে অনুষ্ঠান ছিল।
গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এবং মঙ্গলবার লেবাননে হামাসের একজন সিনিয়র নেতা হত্যাকাণ্ডের পর বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের এ অঞ্চলে আরও বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারেও জোরালো ঝাঁকুনি দিয়েছে, তেলের দাম তিন শতাংশের বেশি বেড়েছে। হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রাজনৈতিক ডেপুটি মোহাম্মদ জামশিদি বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন বলেছে- ইরানের কেরমানে সন্ত্রাসী হামলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কোনও ভূমিকা ছিল না। সত্যিই? শেয়াল প্রথমে নিজের কোলের গন্ধ পায়।’
এ অপরাধের দায়ভার যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র তাদের একটি হাতিয়ার।
ইসরায়েল এ হামলার বিষয়ে মন্তব্য না করলেও যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই এই ঘটনায় জড়িত নয়...। আমাদের বিশ্বাস করার কোনও কারণ নেই, এ বিস্ফোরণে ইসরায়েল জড়িত রয়েছে।’
এদিকে এ হামলার জন্য দেশের ‘অশুভ ও অপরাধী শত্রুদের’ দায়ী করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সেই সঙ্গে হামলার ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ হামলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বৃহস্পতিবার তার তুরস্ক সফর বাতিল করেছেন। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বৃহস্পতিবার ইরানে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে