নীলফামারীর ডোমারে আনোয়ারা বেগম নামে এক স্কুলছাত্রীর বুদ্ধিমত্তায় বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোকরা গ্রামের সাবেক হুইপ আবদুর রউফ সাহেবের রেলঘুন্টি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, রেলঘুন্টি সংলগ্ন এলাকায় ৪৩৩/৪ নং পিলার সংলগ্ন রেললাইনের জয়েন্ট খোলা ছিল। এটা দেখতে পেয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইছাহাক আলীকে জানায় তার দশম শ্রেণী পড়ুয়া নাতনি আনোয়ারা বেগম। পরে ইছাহাক আলী তড়িৎ ঘটনাটি রেলঘুন্টির ৬নং আনসার ক্যাম্পের পিসি মশিয়ার রহমানকে জানান। এরপর গ্রামবাসীসহ আনসার সদস্যরা সেখানে লাল কাপড় টাঙিয়ে দেন। লাল কাপড় দেখে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর তিতুমীর ট্রেনের পরিচালক সেখানে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। পরে ট্রেনটি ধীরগতিতে ঘটনাস্থল অতিক্রম করে।
আনোয়ারা বেগম জানায়, দুপুর আড়াইটার সময় আমি বাড়ির পাশে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিলাম। এ সময় দেখতে পাই রেললাইনে বড় ফাটল। ঘটনাটি আমার নানাকে জানাই।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইছাহাক আলী জানান, আমার নাতনি রেল লাইনের ফাঁকা দেখতে পেয়ে আমাকে জানায়। এরপর আমি আনসার পিসি মশিয়ারকে ঘটনাটি জানাই। আনসার পিসি মশিয়ার রহমান বলেন, দ্রুত রেল চলাচলের কারণে লাইনের জয়েন্ট খুলে যেতে পারে। সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ট্রেন থামিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আর ঘটনাটি রেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়।
ডোমার রেল স্টেশনের মাস্টার বাবু হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার পরে ঘটনাটি পিডাব্লিউডিকে অবহিত করা হয়। পরে তাদের মিস্ত্রিরা ঘটনাস্থলে আসে। এরপর তিতুমীর ট্রেনের লোকো মাস্টারকে ১০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এরপর ট্রেনটি নিরাপদে গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দেয়।
বিডি২৪অনলাইন/রাশেদুল ইসলাম/সি/এমকে