দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সবসময় একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। তারপরও সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং মজুতদারদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপন করে পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা হবে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স হলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। আগামী জুন মাসে সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অনুমোদন দেবে বলে আশা করছেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া ও ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে বাজার ব্যবস্থাপনার খরচ বেড়েছে। এ প্রভাব পড়েছে বাজারে।
নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্মার্ট বাজার সিস্টেম করতে চায় সরকার। সরবরাহের সময়টা কমিয়ে আনা হবে। বাণিজ্য, অর্থ, কৃষি, খাদ্য ও শিল্প মন্ত্রণায়ের সমন্বয়ে একটি টিম থাকবে। সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা হবে, এটাই মিরাকল। মানিকগঞ্জের ফুলকপি যেন একই দিন রাতে ঢাকার গৃহিণীর হাতে আসতে পারে, সেটার নিশ্চয়তাই হবে ম্যাজিক। সঠিক সরবরাহ মূল লক্ষ্য। পরিবহন ও বড় বাজার ব্যবস্থাপনা যথাযথ করাই লক্ষ্য। আজকের দরদামকে বেইজ ধরে আমরা কাজ করতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট বলতে কিছু নেই। কিছু লোক এ কাজ করে থাকে। বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রণ করার যথেষ্ট টুলস রয়েছে। জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব। মজুতদারদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। কৃত্রিম সংকট যারাই করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আহসানুল ইসলাম টিটু আরও বলেন, পুঁজিবাজারে সিন্ডিকেট করতে দেইনি, এখানেও সিন্ডিকেট করতে দেব না। যারা স্বচ্ছভাবে ব্যবসা করবে, তাদের সহযোগিতা করা হবে। কৃত্রিমভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে