অন্য দেশের সরাসরি মদদে জনগণের ভোটাধিকার গলাটিপে হত্যা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলেকশন ক্রাইম করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বলেছেন, শেখ হাসিনা বুঝে গেছেন- গণতান্ত্রিক বিশ্ব এবং দেশের সব জনগণ তার বিপক্ষে। তার ভরসা এখন একনায়কতান্ত্রিক কয়েকটি দেশ। তবে এভাবে তিনি টিকে থাকতে পারবেন না, তার পতন হবে জনগণের আন্দোলনে।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা তার অস্তিত্ব আধিপত্যবাদী শক্তির কাছে বিলীন করে দিয়েছেন। তার নিরাপদ প্রস্থানের পথও সংকুচিত হয়ে গেছে। এখন তার পক্ষে কোনো গণতান্ত্রিক দেশ নেই।
রিজভী জানান, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ অন্য কোনো কারণে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়েনি। দ্রব্যমূল্য বেড়েছে সরকারের সীমাহীন লুটপাটের কারণে। উদ্ভট উন্নয়নের নামে দেশে মহাসমারোহে দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে। সরকার দলীয় লোকেরা সবব্যাংক লুটে নিয়েছে। মন্ত্রী ও দলীয় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে সব পণ্যের মূল্য এখন আকাশচুম্বী। তাছাড়া এ দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। সরকারের মহাদুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের কারণেই অর্থনীতিতে বারবার ধাক্কা আসছে বলেও জানান রিজভী।
বিএনপির এ নেতা আর বলেন, ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ডামি সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতা হারানোর আতঙ্কে ভুগছে। আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থীরাও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে প্রহসন ও তামাশার নির্বাচন বলে অভিহিত করেছে। প্রশ্নবিদ্ধ এ নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং উন্নয়ন অংশীদাররা।
বিডি২৪অনলাইন/আরডি/এমকে