পঞ্চগড়ে বিপাকে আলু চাষীরা

সম্রাট হোসাইন,পঞ্চগড়:
১৫ জানুয়ারী ২০২৪

পঞ্চগড়ে এক সপ্তাহ ধরে চলছে বৈরী আবহাওয়া। কখনও ঘন কুয়াশা,কখনও শিরশিরি বাতাস,কখনও বা শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে আলু ক্ষেতে ছত্রাকের সংক্রমণ বেড়েছে, পাতা কুকড়ে যাচ্ছে। গাছের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং আর্লি ব্লাইট দেখা দিয়েছে। এতে সুষ্ঠু আবাদ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন জেলার আলু চাষীরা। সেই সঙ্গে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

চাষীরা বলছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে - দিন অন্তর অন্তর ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে জমিতে। এতে উৎপাদন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, জেলায় এবার আলু চাষের জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে হাজার ৮৫০হেক্টর। আবাদ হয়েছে তার চেয়ে বেশি, হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে। আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৮৮ মেট্রিকটন।

চাষী দুলু হোসেন বলেন, আলু ক্ষেতে সাধারণত দিন পর পর ছত্রানাশক স্প্রে করতাম। কিন্তু শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে এক দিন পর পর স্প্রে করতে হচ্ছে।

সদর উপজেলার ভাউলাপাড়া এলাকার আলু চাষী সাদেকুল ইসলাম জানান, তীব্র শীতে আলু গাছে আর্লি ব্লাইট ধরেছে। এতে ৭২ ঘন্টা পর পর ছত্রানাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। এক কেজি কীটনাশকের দাম হাজার ৮০০ টাকা, এক একরে দিলেই শেষ। এতে উৎপাদনে খরচ অনেক বেড়েছে।

চাষী হাফিজুর রহমান জানান, শীতে আলু গাছের কুশি মরে যাচ্ছে।এতে একদিন পর পর স্প্রে করতে হচ্ছে। খরচ অনেক বেশি হচ্ছে। ফলন কম হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে। লোকসানও হতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো.নইমুল হুদা সরকার বলেন, এবার জেলায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে একাধারে তিনদিনের বেশী গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা বা বৃষ্টি হলে আলু ক্ষেতে মোড়ক রোগ হতে পারে। প্রতিকুল পরিবেশ মোকাবিলায় আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের সাথে যোগাযোগ রেখে পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করছি, সমস্যা হবে না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় তাপমাত্রা দশমিক ডিগ্রী থেকে ১৩ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠানামা করেছে।

 

বিডি২৪অনলাইন/সি/এমকে

 


মন্তব্য
জেলার খবর