ইরাক ও সিরিয়ায় বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। হামলায় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তু স্থানগুলোর মধ্যে ইসরায়েলের ‘গোয়েন্দা সদর দফতর’ রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইরান। খবর বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
এদিকে হামলার কারণে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা সেটা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এক বিবৃতিতে বলেছে, সোমবার গভীর রাতে সিরিয়া ও ইরাকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ বিভিন্ন অবস্থানে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক হামলা করেছে ইরান। সিরিয়া ও ইরাকে একটি ‘গোয়েন্দা সদর দপ্তর’ এবং ‘ইরান-বিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সমাবেশ’ ধ্বংস করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেরমানে জোড়া বোমা হামলা এবং সিস্তান-বেলুচেস্তান প্রদেশের একটি পুলিশ স্টেশনে হামলার ঘটনায় জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। চলতি জানুয়ারি ও তার আগের মাসে এ হামলা দুটি চালানো হয়।
প্রসঙ্গত, কেরমানে জোড়া বোমা হামলায় অন্তত ৯৩ জন নিহত হন। গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সিস্তান-বেলুচেস্তান প্রদেশের রাস্ক শহরের পুলিশ স্টেশনে হামলার ঘটনায় ১১ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়।
আইআরজিসি আরও বলেছে, তারা ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে ইসরায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের সদর দফতর লক্ষ্যবস্তু করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এটাকে ‘ধ্বংস’ করে দিয়েছে। অবকাঠামোটি ‘গুপ্তচরবৃত্তি কার্যক্রমের বিকাশ এবং এ অঞ্চল ও ইরানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নকশার কেন্দ্র ছিল।
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, এ হামলায় কোনও মার্কিন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কোনও মার্কিন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে