আশীর্বাদ করি বাবাগুলার ভালো হউক। ঠাণ্ডায় রাইত হাত পাও গিলা কোকড়া নাগে। আইজ এনা আইতত ভাল করি নিন হইবে। গাঁও গিলা ওসুম পাইবে।
কম্বল পাওয়ার পরে আঞ্চলিক ভাষায় এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন নীলফামারীর ডিমলা সদর ইউনিয়নের বৃদ্ধা সুধি বালা। পূবলী ব্যাংক ও ব্যাংর্কাস ক্লাব রংপুরের উদ্যোগে স্থানীয় টেপাখড়িবাড়ী, গয়াবাড়ী, ডিমলা সদর, বালাপাড়া ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন মিলে ৩৫০ জনের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়, তাদেরই একজন সুধি বালা।
সুধি বালার কথাগুলো সাধু ভাষায় দাঁড়ায়, যারা কম্বল দিলো আশীর্বাদ করি, তাদের ভালো হোক। ঠাণ্ডায় রাতের বেলায় হাত-পা কুঁকড়ে যায়। আজ রাতে একটু হলেও ভালো ভাবে ঘুম হবে। শরীরটা গরম হবে।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকালে ডিমলা ইসলামীয়া কলেজ বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন মিলানায়নে আনুষ্ঠানিকভাবে কম্বল বিতরণ করা হয়।
কম্বল নিতে আসা আব্দুর রহমান জানান, রাতে ঠাণ্ডায় যেদিকে ঘুরি, সেদিকে ঠাণ্ডা আর ঠাণ্ডা। ঘুমে ধরে না, কম্বলটা দিলো ভালো লেগেছে। কয়েকদিন ধরে যে ঠাণ্ডা শুরু হইছে, কমার নাম নেই। আগুনে পোহানোর পর কাজ করতে যেতে হয়।
এদিকে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর ব্যাংর্কাস ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন, পূবালী ব্যাংক পিএলসি এর উপ মহাব্যবস্থাপক ও রংপুর আঞ্চলিক প্রধান সাজিদুর রহমান, সৈয়দপুর আঞ্চলিক সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাহাবুবার রহমান চৌধুরী প্রমূখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ারুল ইসলাম তীব্র শীতে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে দেশের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
বিডি২৪অনলাইন/রাশিদুল ইসলাম/সি/এমকে