পঞ্চগড়ে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) পাঠদান চলাকালে হঠাৎ অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে, এভাবে ছুটি দেওয়াকে অযৌক্তিক মনে করছেন সাধারণ অভিভাবকরা।
দিনের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে শিক্ষা বিভাগের। কিন্তু এ জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে যখন ছুটি দেওয়া হয়, তখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। দুপুর ১২ টার দিকে তাপমাত্রা বেড়ে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে বিরাজ করে।
এদিন ১১ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর, পাঠদান চলছে রীতিমতো। সে সময় কোন নির্দেশনা পাননি, এমনটাই জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।
জানা গেছে, জেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ১০টার দিকে পাঠদান শুরু হয়। আর শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে রওনা হয় ৯টার দিকে। সে হিসেবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছায়। রীতিমত পাঠদানও শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শিক্ষা বিভাগের নির্দেশে ছুটি দেওয়া হয়। ততক্ষণে তাপমাত্রারও উন্নতি হয়।
অভিভাবকরা বলেন, সকালে তীব্র শীত উপেক্ষা ও কষ্ট করে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসার পর রোদের সময় ছুটি দিলে কষ্ট লাঘব হবে না। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষক জানান, এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন কঠিন হবে। সকালের দিকে তাপমাত্রার সঠিক খবর পাওয়া যায়। এরপর প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশনা আসতে আসতে ক্লাসের সময় হয়ে যাবে। ততক্ষণে শিক্ষার্থীরাও চলে আসবে। তিনি বলেন, এ স্বল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কাছে ম্যাসেজ পাঠানো সহজ বিষয় না। আজকে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ পেয়েছি সাড়ে ১১টার দিকে। তখনতো আর সকালের মতো ঠান্ডা নেই।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি- দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপরই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জানিয়ে দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠান ছুটি দেওয়ার জন্য।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল মালেক বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসা সাপেক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/সম্রাট হোসাইন/সি/এমকে