দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ে স্বস্তিতে নেই ভোক্তারা। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখি দরের কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। দাম বাড়ার পেছনে নানা কারণের মধ্যে বেশিরভাগ সময় দায়ী করা হয়ে থাকে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটকে। এবারই সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে চায় সরকার। চায় স্বচ্ছ বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পণ্যের যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করে স্মার্ট বাজার সিস্টেম চালু করতে। আগামী পহেলা জুলাই থেকে বাজারে সিন্ডিকেট শব্দটি আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোজ্য তেল ও চিনির আমদানি, মজুত ও মূল্য পরিস্থিতি সংক্রান্ত সভার শুরুতে বাজার ব্যবস্থাপনা ও সিন্ডিকেট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। ঢাকায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স হলে এ সভা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করবে বাজার। সেই জায়গাটায় স্বচ্ছতা আনতে চাই। পণ্যের দাম কমাতে পারব না। কিন্তু দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনা ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে পারব। আন্তর্জাতিক বাজারে কোনো বড় ক্রাইসিস না হলে পণ্যের কোনো সংকট থাকবে না। তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো পণ্য উৎপাদন ও  আমদানি করে না। কোন পণ্যের দাম কত হওয়া উচিত, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়  সেটা বলতে পারবে।

টিটু জানান, বাজারে যাতে পণ্যের সংকট না থাকে, সেজন্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাই। সে জন্য জুন পর্যন্ত সময় নিলাম। ১ জুলাই থেকে সিন্ডিকেট শব্দ শুনবেন না, সিন্ডিকেট আছে এমন অভিযোগ করতে পারবেন না।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাজার দামকে বেইজ ধরে আমরা কাজ করতে চাই। কেউ মজুতদারি করায় ভোক্তার কষ্টের কারণ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবেন না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

আহসানুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব। মূল্য নির্ধারণটা হবে স্বয়ংক্রিয়। এটা জোড় করে করা যায় না। বাজারমূল্য কখনো আর্টিফিসিয়ালি দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায় না। সে জন্য একটি স্মার্ট বাজার ব্যবস্থা চালুর চেষ্টা করছি  আমরা।

প্রতিমন্ত্রী জানান, আমি মনে করি- দেশে যারা ব্যবসা করেন, তারা সৎ এবং উদ্যোগী। আশা করছি, তাদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাবো। ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স দিয়ে ব্যবসা করে। কেউ কারসাজিতে যুক্ত নয়। আমি সেটা বিশ্বাস করি না।

বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে