করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের বড় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)। গত সপ্তাহে সাড়ে ১০ হাজার কোটির বেশি টাকা হাওয়া হয়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের। বড় পতন হয়েছে মূল্যসূচকের, কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এই সপ্তাহে মোট চার কার্যদিবস লেনদেন হয়। এতেই বড় অঙ্কের এই অর্থ হারান বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্য গুজব ছড়িয়েছে- আবারও লকডাউনে যেতে পারে দেশ। তাই হাতে নগদ টাকা রাখতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির প্রবণতা দেখা যায়।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়ে। ফলে ব্যাংক-বিমা এবং আর্থিক খাতসহ সব কয়টির শেয়ারের দাম কমে। লেনদেন শুরুর সোয়া ঘণ্টা পরেই ডিএসই’র ওয়েবসাইট হ্যাক হয়। এই ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। ফলে বড় দরপতন ঘটে। লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে বাজার মূলধন কমেছে ১০ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা।
সপ্তাহজুড়ে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট। ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৮০ দশমিক ৭৮ পয়েন্ট। ডিএসই শরিয়াহ্ সূচকও কমেছে ১৮ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে শেয়ার লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৭২টির,কমেছে ২১০টির, আর ৮৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে এর পরিমাণ ছিল ৮৬৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৬২৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৫৯ কোটি ৫৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ৪৩২ কোটি ৫১২ লাখ টাকা।
এমকে