null
মার্চের প্রথম সপ্তাহে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে পারে। এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টিও আর থাকছে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা শেষে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জানা যায়, এবার দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন হবে কিনা, সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এ সময় দলীয় প্রতীক না দেওয়ার ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন— সবার অভিমতের সঙ্গে ভিন্নমত নেই আমার।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ওয়ার্কিং কমিটি উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা পরবর্তীতে দলের স্থানীয় মনোনয়ন বোর্ড ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় চূড়ান্ত করা হবে। ওয়ার্কিং কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তই বহাল থাকে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী, দলীয় প্রার্থী- সব মিলিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে সৃষ্ট মনোমালিন্যের রেশ এখনো রয়ে গেছে। কিছু কিছু জায়গায় সেটা দূর করতে বিভাগীয় কমিটি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমাধানের কথা বলা হয়েছে।
গত ১৬ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, রোজা শুরুর আগেই উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোট হতে পারে। আগামী ১০ মার্চ মাহে রমজান শুরু হবে। নির্বাচনযোগ্য ৪৮৫ উপজেলা পরিষদের তালিকা পেয়েছে ইসি। নির্বাচন করতে কমিশন প্রস্তুত আছে। কমিশন সিদ্ধান্ত নিলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
স্থানীয় সরকার (উপজেলা) (সংশোধন) আইনে-২০১৫ এ বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীকে রাজনৈতিক দলের মনোনীত অথবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হবে। এ আইন অনুযায়ী, এ নির্বাচনে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ভোট হয়। এরপর থেকে স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই হচ্ছে। যদিও ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদ সবার জন্য উন্মুক্ত রাখে আওয়ামী লীগ।
বিডি২৪অনলাইন/এন/এমকে