দেশের তৈরি পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) তাদের নতুন প্রতিবেদনে বলছে, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) ব্যবস্থার উন্নতির ক্ষেত্রে এ খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। একই সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক অন্যান্য অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ওএসএইচ ব্যবস্থার উন্নতি বাড়ানো, সহিংসতা ও হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষার বিষয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি বাংলাদেশ। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনের বিষয়টি জানিয়েছে জাতিসংঘ।
‘ওএসএইচ’ সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্পের অংশ প্রতিবেদনটি তৈরিতে যৌথভাবে অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয় কমিশন এবং আইএলও। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আইএলও সদর দপ্তর জেনেভায় অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে আলোচনা হবে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ওএসএইচ ব্যবস্থা প্রাথমিকভাবে শ্রম আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। শ্রম আইনের ১০৯ ধারা কর্মক্ষেত্রে নারীকে সুরক্ষা দেয়। কর্মক্ষেত্রে নারীর শালীনতা বা সম্মানে আঘাত করা হয়- এমন আচরণে বাধা দেয় এ আইনের ৩৩২ ধারা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয, কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও মর্যাদা উন্নীত করতে বাংলাদেশে জাতীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যনীতি ২০১৩ এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ গঠন করা হয়েছে।
এদিকে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও নির্মূলে সুপ্রিমকোর্টের ভূমিকা তুলে ধরে প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। ২০০৯ সালে সরকারি-বেসরকারি সব কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য যৌন হয়রানি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে হাইকোর্ট। নির্দেশনায় যৌন হয়রানি সম্পর্কিত অভিযোগ পেতে তদন্ত পরিচালনা এবং সুপারিশ করতে অভিযোগ কমিটি গঠন করতে বলা হয়ে। এ নির্দেশনা কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধে কার্যকর উপায় প্রমাণিত হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিডি২৪অনলাইন/ই/এমকে