চীনের চাপে ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ জানুয়ারী ২০২৪

লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট সব জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে ইরান-সমর্থিত হুথিদের হামলার লাগাম টেনে ধরতে ইরানকে চাপ দিয়েছে চীন। এটা না হলে বেইজিংয়ের সঙ্গে তেহরানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের অবস্থানগুলোতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হুথিদের দমাতে যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালেও হুথিদের হামলা এখনো বন্ধ হয়নি। এ অবস্থায়  হুথিদের হামলা বন্ধে ইরানকে রাজি করাতে চীনের দারস্থ হয় যুক্তরাষ্ট। বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

ফিলিস্তিনের গাজায় হামাসের সঙ্গে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘাত শুরুর পর লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট সব জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে হুথি গোষ্ঠী। তারা হামাসকে সমর্থন দিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, বেইজিং তেহরানে সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি বৈঠকে লোহিত সাগরে একের পর এক জাহাজে হামলা এবং চীন ইরানের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বৈঠক কখন হয়েছে বা কারা অংশ নিয়েছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

আলোচনার অংশ নেওয়া এক ইরানি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স বলেছে, চীন বলেছে- আমাদের স্বার্থ যদি কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তেহরানের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায় প্রভাব ফেলবে। তাই হুথিদের বলুন, সংযত থাকতে।

খবরে জানানো হয়, বেইজিং স্পষ্ট বলে দিয়েছে- চীনের সঙ্গে যুক্ত কোনও জাহাজে হামলা করা হলে বা স্বার্থ কোনওভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেহরানের প্রতি খুবই হতাশ হবে বেইজিং।

এদিকে ইরানের একজন অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি বলেছেন, ইরানের কাছে চীন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হলেও তেহরান ইয়েমেনের হুথিদের পাশাপাশি গাজা, লেবানন, সিরিয়া এবং ইরাকেও প্রক্সি রেখে দিয়েছে। এর আঞ্চলিক জোট অগ্রাধিকারগুলো ইরানের সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।

ওদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘চীন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আন্তরিক বন্ধু এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং অভিন্ন উন্নয়ন সমৃদ্ধি কামনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।লোহিত সাগরে হুথিদের হামলা এবং তাদের লাগাম টেনে ধরতে চীনের চাপ নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করেনি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রসঙ্গত, গত এক দশক ধরে ইরানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার চীন। তবে তাদের সেই বাণিজ্য সম্পর্ক একমুখী।

 

বিডি২৪অনলাইন/আই/এমকে


মন্তব্য
জেলার খবর